শনিবার, ২০ জুন, ২০২০

রোম যখন পুড়ছিল নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল!

এই  মূহুর্তে  যতটুকু  মনে পড়ছে ৮ মার্চ  রবিবার প্রথম দেশে তিনজন করোনা  রোগী শনাক্ত হয়। তাদের  মধ্যে  দু'জন  ইতালি  ফেরত  পুরুষ  এবং  অন্যজন  নারী,  যিনি  ছিলেন দু'জনের কোন একজনের  আত্মীয়া।  সেই  থেকে  কত  কি  ভীতিকর  অবস্থার  মধ্য  দিয়ে  আমাদের ৬৭টি দিন অতিবাহিত  হলো;  এখনো  পর্যন্ত  নাকি করোনার ঊর্ধ্বগতির চূড়ান্ত সীমাই আসেনি! অদ্ভুত এক পরিস্থিতিতে  পড়ে  আছি।  দুঃখ  হয়- কেউ  বুঝে,  আবার  অনেকেই  বুঝে না বা বুঝতে চায় না। আমাদের  মাননীয়  প্রধানমন্ত্রীর  যথেষ্ট   সদিচ্ছা  থাকা  সত্ত্বেও সার্বিক করোনা পরিস্থিতি কেমন যেন    উলটপালট    হয়ে    গেল!    একে    একে   সবকিছুই   নিয়ন্ত্রণের   বাহিরে   চলে   যাচ্ছে। 

এতোটা দিন ধরে আমরা সাধারণরা যে কি পরিমাণ কষ্টে কালাতিপাত করছি, তা বুঝাবো কাকে? নিজের কষ্ট নিজের মাঝেই রাখি! কিন্তু, বিগত কয়দিন বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কেন যেন হটাৎ বেশ খটকায় পড়ে গেছি— তবে কি করোনা নিয়ে মিছেমিছি কোন প্রপাগাণ্ডা রটিয়েছে বা রটাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?? বাংলাদেশের দিকে তাকাতেই আবার কেন জানি রোম সম্রাট সেই বাঁশিওয়ালা নিরো, আর লঙ্কার সেই হনুমান ও রাবণের কথা মনে পড়ে গেল! 

ছোটবেলা থেকে একটি প্রবাদ শুনে বড় হয়েছি— 'রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল!' বড় হয়ে এ নিয়ে অনেক গবেষণা করেছি; এ পর্যন্ত যা জেনেছি তা হলো, মাত্র ১৬ বছর বয়সে নিরো রোমের সম্রাট হন। তিনি ক্ষমতায় আসেন ৫৪ খৃস্টাব্দের দিকে। সেই সময় রোমান সাম্রাজ্য খুবই বিস্তৃত ছিল; পশ্চিমে স্পেন, উত্তরে ব্রিটেন, আর পূর্বে ছিল সিরিয়া।

সম্রাট নিরোর শাসনকালের প্রথম পাঁচ বছরকে দেখা হয় রোমান জনগণের 'স্বর্ণযুগ' হিসেবে। সিনেটের হাতে তিনি সকল ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। রোমের সেনাবাহিনীকে এক পাশে সরিয়ে রেখে, খেলাধুলার মতো নানান ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ লোকজনের খুবই কাছে চলে যান তিনি এবং খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হন। কিন্তু এই অবস্থা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ভয়ঙ্কর সহিংসতা ও নিষ্ঠুরতা তার এই সাফল্যকে অচিরেই ম্লান করে দেয়। ভয়ঙ্কর সব নিষ্ঠুরতা তার শাসনকালের বাকি পুরো সময়জুড়েই অব্যাহত থাকে। 

রোমান সম্রাট নিরো ইতিহাসের পাতায় সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং পাগলাটে শাসকদের একজন হিসেবে পরিচিত। বলা হয়, তিনি তার মাকে হত্যা করেছেন, হত্যা করেছেন তার সৎ ভাই ও স্ত্রীদেরও। খ্রিস্টানদের উপর চালিয়েছিলেন অকথ্য নির্যাতন  নিপীড়ন। ব্যক্তি জীবনে সম্রাট নিরো ছিলেন অত্যন্ত বেহিসেবি; বিশাল আকারের একটি প্রাসাদ নির্মাণ করতে গিয়ে তার পেছনে উড়িয়ে দেন অঢেল অর্থ। একই সাথে তিনি খেলাধুলারও আয়োজন করতেন; আয়োজন করতেন রথ দৌড় প্রতিযোগিতা। মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে অভিনয়ও করতেন তিনি এবং নিজেকে দাবি করতেন একজন শিল্পী হিসেবে। 

৬৪ খৃস্টাব্দে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে রোমের বেশিরভাগ এলাকা পুড়ে গিয়েছিল। গুজব আছে— নিরো নিজেই  নাকি ওই আগুনটা লাগিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এও দাবী করা হয়— রোম নগরী যখন পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি নাকি বেহালা বাজাচ্ছিলেন! সেই থেকেই ইতিহাসে ছড়িয়ে পড়ে, রোম নগরী যখন আগুনে পুড়ে ছাই হচ্ছিল তখন সেদিকে নিরোর কোন ভ্রুক্ষেপই ছিল না; বরং সে সময় তিনি বাঁশি বাজাচ্ছিলেন!

নিরোর বয়স ৩০ হতেই তার বিরুদ্ধে বিরোধিতা চরমে পৌঁছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে সেইসব সিনেটররাই তাকে 'জনগণের শত্রু' হিসেবে ঘোষণা করেছিল! এর অর্থ হলো- নিরোকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই তাকে হত্যা করা হবে! এরপর নিরো মফস্বলের মতো একটি জায়গায় পালিয়ে গিয়ে সেখানকার একটি ভিলাতে আশ্রয় নেন। রক্ষীরা যখন তার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল তখন তিনি সেখানেই আত্মহত্যা করেন।

বলা হয়ে থাকে, মারা যাবার সময় তিনি 'কোয়ালিস আর্টিফেক্স পেরেও' বলে চিৎকার করছিলেন। এটা বলে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা আজও পৃথিবীতে স্পষ্ট নয়। কারণ এ কথার নানান অর্থ হয়; এক অর্থে— 'আমার মৃত্যুর সময়ে আমি কী দারুণ এক শিল্পী!', অথবা— 'আমার সাথে কী এক শিল্পীর মৃত্যু হচ্ছে!', অথবা— 'আমি একজন বণিকের মতো মারা যাচ্ছি।'
অর্থ যা-ই হউক না কেন, মৃত্যুর আগে এই শেষ উচ্চারণও তার সারা জীবনের মতোই নাটকীয়। 

রামায়ণে বর্ণিত হনুমান পবননন্দন হিসেবে হিন্দুদের নিকট অতি পূজনীয়। রামের দূত হিসেবে লঙ্কায় যাওয়ার পর হনুমানের লেজে আগুন ধরিয়ে দেয় রাবণ। আর সেই আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় গোটা লঙ্কা! তবে কখনও ভেবে দেখেছেন কি সেই অগ্নিকাণ্ডে হনুমান দগ্ধ হলো না কেন? কেনই-বা কোন কষ্টও সহ্য করতে হয়নি হনুমানকে??

আসলে এই লঙ্কা কাণ্ডের পিছনে রয়েছে অন্য আরেকটি গল্প। জানা যায়, হনুমান নয় আসলে দেবী পার্বতীই আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল লঙ্কায়! প্রাচীন গ্রন্থ থেকে এ কথাটি জানা যায়— একসময় দেবী পার্বতী চেয়েছিল একটি আলাদা বাড়িতে স্বামী-পুত্র নিয়ে সংসার করতে। সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি তার স্বামী শিবের কাছে। স্ত্রী’র ইচ্ছার কথা শুনে কুবেরকে নির্দেশ দেন শিব। কুবের সেই কথা মেনে একটি সোনার বাড়ি তৈরি করে দেয়। অপূর্ব সুন্দর সেই প্রাসাদ দেখতে ছুটে যান দেব-দেবীরা। শিবের ভক্ত রাবণও যায় ওই প্রাসাদ চাক্ষুষ করতে। গিয়ে দেখে, ত্রিভুবনে এর থেকে সুন্দর জিনিস আর কিছু হতে পারে না!

লোভ সামলাতে পারেনি রাবণ। সে শিবের কাছে ব্রাহ্মণের রূপ ধরে ওই প্রাসাদ ভিক্ষা হিসেবে চায়। ভক্তের অভিসন্ধি আগেই জানতে পেরেছিলেন শিব। তিনি আর দু’বার না ভেবে বাড়িটি দিয়ে দেন রাবণকে। আর একথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন পার্বতী। তাঁর সাধের বাড়িতে অন্য কেউ থাকবে, এটা ভাবতে পারছিলেন না পার্বতী। তিনি স্বামীকে বলেন, অন্তত যেন ওই বাড়ি ভেঙে রাবণের জন্য অন্য একটা নতুন প্রাসাদ তৈরি করে দেওয়া হয়। 

কিন্তু শিব তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ত্রেতাযুগে পুনরাবির্ভাব হলে তিনি নিজে হনুমান হয়ে আসবেন। রামের দূত হয়ে লঙ্কার দৈত্যদের নাশ করতে সাহায্য করবেন। আর তাঁর লেজেই থাকবেন পার্বতী। তখন রাবণকে শাস্তি দিতে পার্বতী যেন আগুন জ্বালায়; পার্বতী রাজি হন। আর সেই কারণেই হনুমানের লেজ কখনও ধ্বংস করা সম্ভব ছিল না। সেই কারণেই হনুমানের লেজের আগুনে লঙ্কাপুরী দগ্ধ হলেও তার কোনও ক্ষতি হয়নি আঘাত লাগেনি!

করোনাভাইরাস ক্রাইসিসকে সম্বল করে প্রথম থেকেই দেশে কিছু রাবণের সৃষ্টি হয়েছে, কিছু হনুমানেরও দেখা মিলেছে! আর অন্য যা কিছু হয়েছে বা ঘটেছে সেসব নেহায়েতই ছেলেখেলা! বর্তমানে যা ঘটছে তা তো রীতিমতো নাটক!! ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে প্রথম দফার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, সম্ভবত এই সাধারণ ছুটি আবারও ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত হবে। করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে একে একে বাড়ানো হয়েছে ছুটি, কিন্তু কাজের কাজটা হয়েছে কি??   

সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ অব্যাহত; কবে এর প্রভাবমুক্ত হবে পৃথিবীর কেউ তা জানে না। তবে অবস্থা বিবেচনায় একটা সময় বিশ্বের অনেক দেশেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে, লকডাউন শিথিল করা হয়েছে; কিন্তু তা করোনা সংক্রমণের হট সময়ে কেউ করেনি। তুলনামূলক বিবেচনায় বাংলাদেশে সংক্রমণের হার বর্তমানে পর্যায়ক্রমিক ঊর্ধ্বগতির। বুধবার (১৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিন থেকে জানা যায়— গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১,১৬২ জন; নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে  ৭,৯০০ জনের। অর্থাৎ- গড় হিসাবে পরীক্ষা করা প্রায় প্রতি ৭ জনে মধ্যে ১ জন করোনা সংক্রমিত।

প্রথম থেকেই লক্ষ্য করে আসছি সরকারের প্রতিটা সিদ্ধান্তই ক্ষণে ক্ষণে কেমন যেন এলোমেলো! করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি থাকা অবস্থায়ই একে একে মসজিদ মন্দির গীর্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলো, ১০ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট খুলে দেয়া হলো, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এবং কিছু অফিসও খুলে দেয়া হলো বেশ আগেই। প্রেক্ষিতে যা ঘটার তাই ঘটেছে, মানুষজন দিব্যি রাস্তায় চলাফেরা শুরু করে দিয়েছে। বলতে গেলে আরামসে রাস্তায় নেমে পড়েছে, দেদারসে ঈদ মার্কেটিং করছে! এসব দৃশ্য দেখলে মনে হয় না এদেশে কারো কোন অভাব-অভিযোগ আছে। 

হাজার হাজার কোটি টাকা কেন প্রনোদণা দেয়া হয়েছে? পরিতাপের বিষয় হলো, যারা এ প্রনোদণার ভাগিদার তারা ঢাকার রাস্তায় এখনই রীতিমতো ও নিয়মিত ট্রাফিক জ্যাম ফেলে দিয়েছে! একদিকে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে চলছে তথাকথিত পয়সাওয়ালাদের বেলাল্লাপনা! করোনার কারণে সরকার একের পর এক সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে জনগণকে। আগের গুলো অনেকটাই মিসইউজ হয়েছে, তা বাদই দিলাম। আজও সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারের জন্য আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী; যার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১,২৫০ কোটি টাকা। 

এতো কিছু কেন করছেন তিনি বা কেন করা হচ্ছে? অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পূরণের সাহায্যার্থে? তবে কি সেই জনগণের উচিত নয় দেশের আইনকে মান্য করা? কিন্তু কি অদ্ভুত জনগণ আমরা, ছুটি ভোগ করছি, নানান সুবিধা নিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু আইন মানছি না বেশিরভাগেই! এমনকি  লকডাউনের সাধারণ নিয়মকানুনগুলোও মানছি না! 

বিগত দুই মাস সার্বিকভাবে দেখেশুনে যা বুঝতে পেরেছি তাতে মনে হচ্ছে এদেশে করোনার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র একজন, একাই লড়াই করে যাচ্ছেন। আর তিনি হলেন আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। অন্য কারো করোনা নিয়ে কোন মাথা ব্যথা বা দুশ্চিন্তা আছে কি না তা বুঝার কোন উপায় নেই! দিব্যি তারা ফ্যাশন শো করে বেড়াচ্ছে! অনেক ক্ষেত্রে চুরিচামারি আগের চেয়েও বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে! আবার সেই তারাই একে অন্যকে দোষারোপ করছে, বিরুদ্ধাচারণ করছে! কিন্তু, অনন্য একজন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই সার্বক্ষণিক কাজ করছেন পুরো দেশ ও জাতির জন্য। তিনিই প্রতিটি মূহুর্তে চেষ্টা করছেন, উপদেশ দিচ্ছেন মানুষকে; তাগিদ দিচ্ছেন ঘরে থাকতে।

কিন্তু বাঙালি বড় ত্যান্দোড়! নরম পেলে গতরে উঠতে এক সেকেন্ড সময় নেয় না। তাই তো দেশে লকডাউন কার্যকরী হয়নি; তারা মানছে না। লকডাউন বাদ দিয়ে যদি বিগত দিনের প্রথমেই লেগডাউন করা হতো, তবে হয়তো এরই মধ্যে করোনার গতি ক্রমডাউন হয়ে যেতো। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে হয়তো কঠিন কোন ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা আমাদেরকে করতে হতে পারে। অবশ্য এসব বুঝার মতো সক্ষমতা এ জাতির খুব কম মানুষেরই আছে। তাছাড়া বাঙালির নিজ গায়ে আগুন না লাগলে কখনো তারা টের পায় না আগুন কি জিনিস? বরং অন্যের গায়ের আগুন নিয়ে এ জাতির চিরায়ত তামাশার স্বভাব! 

যাদের বোধ-বুদ্ধি আছে তারা করোনা পরিস্থিতিতে আগেও নিয়মনীতি মেনে ঘরে থেকেছে, এখনো থাকছে। কিন্তু এই সংখ্যা নেহায়েত হাতে গণা। অবশ্য তারা আছেন মহাবিপদে। তাদের সবার একই কথা— এই মূহুর্তে করোনাভাইরাসের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে সামনে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে জাতিকে, তার শক্তি সাহস বা সামর্থ্য কোনটাই এ জাতির থাকবে কিনা সন্দেহ; মনে হয় না মোটেও থাকবে! 

তাই ভুল যা হওয়ার হয়ে গেছে, বাদ। এই মূহুর্ত থেকে সরকারের উচিত কড়াকড়ি লকডাউন আরোপ করার দিকে যাওয়া বা কারফিউ দেয়া। প্রয়োজনে আজ এবং এই মূহুর্ত থেকেই যে যেখানে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায়ই ১৫/২০ দিনের জন্য পুরো জাতিকে কে স্থির করে দেয়া। নয়তো কিছুতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের লাগাম টানা যাবে না। ৬৪ জেলায় এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, আর এভাবে যদি চলতে থাকে তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি দেশের ৮০% মানুষ সংক্রমিত না হওয়া পর্যন্ত এই করোনা থামবে না।

যা করার এই মূহুর্তেই করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী; আপনার জন্য মাত্র একটি ঘোষণা। দেশবাসী এখনো শুধুমাত্র এবং একমাত্র আপনাকেই ভরসা করে। করোনাভাইরাস মহামারি যে মহাদূর্যোগ বয়ে আনছে তা চোখের সামনে প্রস্ফুটিত! তখন কিন্তু আর আফসোস করেও কোন লাভ হবে না। এ দেশের নিরো, রাবণ ও হনুমানরা কিন্তু বাঁশি হাতে, ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতে বা লেজে আগুন নিয়ে ঠিকই বসে আছে।।

মুহাম্মদ ওয়ালিউল্যাহ
১৪ মে, ২০২০.

1 টি মন্তব্য: