সোমবার, ২২ জুন, ২০২০

প্রতিটি মানুষই তার স্বপ্নের সমান বড়!

স্বপ্ন মূলতঃ মানুষের মানসিক একটি অবস্থা; যা মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে। ঘটনা কাল্পনিক হলেও স্বপ্ন দেখার সময় সত্যি বলে মনে হয়। অধিকাংশ সময় স্বপ্নদ্রষ্টা নিজে সেই ঘটনায় অংশগ্রহণ করছে বলে মনে করতে থাকে। অনেক সময় আবার পুরনো অভিজ্ঞতার টুকরো টুকরো স্মৃতি কল্পনায় বিভিন্নভাবে জুড়ে ও পরিবর্তিত হয়ে সম্ভব অসম্ভব সব ঘটনার রূপ নেয়। স্বপ্ন হলো ধারাবাহিক কতগুলো ছবি ও আবেগের সমষ্টি, যা ঘুমের সময় মানুষের অবচেতন মনের মধ্যে আসে। এগুলো কল্পনাও হতে পারে, অবচেতন মনের কোন কথাও হতে পারে, আবার অন্য কিছুও হতে পারে; এগুলোকে শ্রেণীবিন্যাস করা বেশ কষ্টকর। তবে মানুষ অনেক স্বপ্নই দেখে, কিন্তু সবগুলোই মনে রাখতে পারে না।

চেতন মন আর অবচেতন মনের মধ্যে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় - অবচেতন মন জাগ্রত অবস্থায় নিষ্ক্রিয় থাকলেও তার কাজ বন্ধ থাকে না। বলতে গেলে, মানুষ জেগে থাকা অবস্থায়ও স্বপ্ন দেখে! কিন্তু চেতন মন তা দেখে না। ঘুমিয়ে থাকার সময় কিন্তু চেতন মনের কোন কাজ নেই, সে তখন প্রায় নিষ্ক্রিয়ই থাকে। স্বপ্ন নিয়ে অনেক মানুষই অবিরাম গবেষণা করে চলছেন; তাদের মতে, স্বপ্ন মানুষকে তার নিজের সম্পর্কে অনেক ধারণা দিতে পারে। এমন কি তা-ও ধারণা দিতে পারে তার ভবিষ্যত সম্পর্কেও; কারণ, মানুষের অবচেতন মন অনেক কিছুই বুঝতে পারে, যা তার চেতন মন পারে না।

তবে, বাস্তব জীবনে মানুষ প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন আঁকে, স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকে; কল্পনার স্বপ্ন বিলাস বাস্তবায়নের মাধ্যমেই মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। প্রতিটি মানুষই তার স্বপ্নের সমান বড়, আমার মতে কখনো কখনো মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও অনেক বেশি বড়। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, তখন তিন বন্ধু এক সাথে প্রতিদিন স্কুলে যেতাম; একজনের নাম দেলোয়ার, আরেকজনের নাম আজগর এবং আমি। শুনেছি দেলোয়ার ইউরোপের কোন এক দেশে সেটেল্ড করেছে, আজগর কোথায় এখন তা আর জানি না। নাইন/টেইনে পড়ার সময়ই আজগর প্রায় ছয় ফুট লম্বা ছিল, দেখতে শুনতেও বেশ ভাল ছিল; কিন্তু খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিল সে। ওর একটি কথা আজ আমার খুব মনে পড়ছে, স্কুলের পথে সেসময় সে প্রায়ই বলতো -"আমার খুব ইচ্ছা করে এক বেলা যে পোষাকটি পড়ি অন্যবেলা তা না পড়তে- আরেকটা পড়তে।" 

মেট্রিক পাশ করার পরপরই কেমন করে যেন সে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চান্স পেয়ে যায়। অনেক দিন পর এরশাদ সাহেবের আমলের প্রথম দিকে একদিন হটাৎ তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল, সে তখন ছিল প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের অন্যতম একজন। সেদিন তার কাছ থেকে অনেক কথাই শুনেছিলাম; জেনেছিলাম  তার জীবনের উত্থানের অনেক গল্প। স্কুল জীবনের সব স্বপ্নস্বাদই তার শতভাগ পূরণ হয়েছে। সাড়ে তিন মাইল খালি পায়ে হেঁটে আমরা প্রতিদিন স্কুলে যেতাম; দেলোয়ার, আজগর এবং আমি। প্রতিদিন অতটুকো লম্বা পথ অতিক্রম করেই আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় এক ঘন্টা হেঁটে দূরের সেই নাগরীর সেন্ট নিকোলাস হাই স্কুলে যেতে হতো।

তিন জনের মধ্যে বয়সে ও সাইজে আমিই ছিলাম সবচেয়ে ছোট; কিন্তু পড়তাম একই ক্লাশে; তবে আলাদা সেকশনে। আমাদের স্কুলে প্রতি ক্লাশে 'এ' 'বি' 'সি' তিনটে সেকশন ছিল; অর্থাৎ প্রতি ক্লাশে ১২০ জন ছাত্র থাকলে ৪০ জন করে সেকশন করা হতো। নাইন টেইনে ছিল ১২০ জনের সাইন্স ও কমার্স; আর্টস আমাদের স্কুলে তখনও (স্বাধীনতার পর) ছিল না। আমি 'এ'  সেকশনে ছিলাম আর ওরা ছিল 'বি' সেকশনে; নাইনে উঠার পর আমি চলে যাই সাইন্সে, ওরা কমার্সে। তাই রাস্তাই ছিল আমাদের তখনকার বন্ধুত্বের সব বন্ধন, যত সব খুনসুটি; হাঁটতে হাঁটতে সে কত কি! তারা এখন কোথায় আছে কেমন আছে জানি না, তবে মন বলছে প্রত্যেকেই যার যার অবস্থানে বেশ ভালো আছে। 

আমার মা এখনো তাঁর নাতি-নাতনি ও নাতবৌ-এর সাথে গল্প করেন, আমি নাকি ছোটবেলা খুবই চুজি ছিলাম; নানু কোন জামা-কাপড়-জুতা এনে দিলে আমি নাকি তা পড়তাম না। আর নানু নাকি বলতেন, তোর পোলা আকাশের দিকে তাকানো শিখেছে। আলহামদুলিল্লাহ! সেই থেকে আজও আমাকে আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা কম কিছু পড়াননি, কম কিছু খাওয়াননি এবং দুনিয়ার কম কিছুও দেখাননি। ছোটবেলায় যা যা স্বপ্ন দেখেছি, তার প্রায় সবই জীবনে কম-বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে, ইচ্ছে ছিল পাইলট হবো, পারিনি; কারণ চোখের সমস্যা ধরা পড়ায় ২১ দিনের আইএসেসবি-র ১৭ দিনের দিন আউট হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়ন কখনো থেমে থাকেনি। তবে, আমার সুবিধা হলো, কোনদিনও আমি যোগানের চেয়ে চাহিদা বাড়াইনি; হয়তো এই মানসিকতাটিই আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছে কিছুটা হলেও নিরাপদে জীবন-যাপন করতে।

শিক্ষকরাই আমাদের স্বপ্ন বুনেছেন, স্বপ্ন দেখিয়েছেন; তাই শিক্ষকতা জীবনেও সারাজীবন আপ্রাণ চেষ্টা করেছি ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন দেখাতে। কতটা পেরেছি তা জানি না, তবে এটা নিশ্চিত বলতে পারি চেষ্টার ত্রুটি করিনি কখনো তাদের স্বপ্ন দেখাতে, স্বপ্ন তৈরি করে দিতেও কখনো পিছুপা হইনি। একজন শিক্ষক ইচ্ছে করলে অনেক ছেলে-মেয়েরই স্বপ্নদ্রষ্টা হতে পারেন, জীবনে চলার পথে স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের পথও দেখাতে পারেন। যে কোন স্বপ্ন বাস্তবায়নের মূল হলো কর্মস্পৃহা ও কর্মউদ্দীপনা। ইচ্ছে করলেই যে কেউ এই স্পৃহা ও উদ্দীপনা নিজের মধ্যে জাগাতে পারে; আর এর জন্য প্রয়োজন শুধু সদইচ্ছার এবং সঠিক কর্ম পরিকল্পনার। তাছাড়া, সাদাসিধে একটি সৎ জীবনের জন্য একজন মানুষের কতটুকোই-বা প্রয়োজন?

বেশ কয়েক বছর আগে ভারতে চেতন ভগত-এর উপন্যাস অবলম্বনে 'থ্রি ইডিয়টস' নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল; ছবিটি দেখেনি এমন বাংলাদেশি পাওয়াও দুষ্কর। চেতন ভগত ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একজন লেখক। বই লেখার পাশাপাশি তরুণদের জন্য তিনি উৎসাহমূলক বক্তৃতাও করে থাকেন। ২০০৮ সালের ২১ নভেম্বর দিল্লিতে হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে তিনি একটি বক্তৃতা করেছিলেন; যা আমার অত্যধিক ভাল লেগেছিল। তাই পরিশেষে আজ আমি আপনাদের জন্য সেটির অনুবাদই সরাসরি তুলে ধরছি; যদি এ থেকে আমাদের তরুণরা কিছু শিখতে পারে। তিনি বলেন— 

আমি নেতা নই; আমি একজন স্বপ্নচারী মানুষ, যে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে জানে। আজ আমি বলতে এসেছি কীভাবে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারি। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আগে আমাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। ভেবে দেখো, সবাই সুখী, ধনী আর সফল প্রতিবেশীর সঙ্গেই বন্ধুত্ব করতে চায়, তাই না? যে পরিবারে সব সময় দ্বন্দ্ব আর ঝগড়া লেগেই থাকে, তাদেরকে সবাই এড়িয়ে চলে। জাতির ক্ষেত্রেও ঠিক একই নীতি প্রযোজ্য। আমাদের মধ্যে আছে অসংখ্য সমস্যা আর বিভেদ। তবে আজ আমাদের প্রশ্ন এটা নয় যে এই সমস্যার দায় কার? আমাদের প্রশ্ন, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা হবে?

এমন দেশ গড়তে হবে যেখানে সবাই নিজের যোগ্যতা, উদ্যম আর পরিশ্রম দিয়ে উন্নতি করতে পারবে। যেখানে কেউ জিজ্ঞেস করবে না, তুমি কোথা থেকে এসেছো, সবাই জানতে চাইবে, তুমি কোথায় যাচ্ছো? আমরা সবাই এমন দেশের স্বপ্ন দেখি। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে অনেক কিছু করতে হবে এবং রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমি মনে করি, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের চিন্তাধারা অবশ্যই বদলাতে হবে; শুধু জনগণ নয়, নেতাদেরও একই কাজ করতে হবে। এগুলো হলো, ভেদাভেদের রাজনীতির বদলে ঐকমত্যের রাজনীতির প্রচলন করা, আভিজাত্যের খোলস ছেড়ে জনতার কাতারে মিশে যাওয়া এবং ব্যবহারিক ইংরেজির চর্চা করা।

প্রথমে রাজনীতির কথায় আসি। আমি পাঁচ বছর ধরে ভারতের তরুণদের পর্যবেক্ষণ করছি। শুধু বড় শহরগুলোতে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে তাদের গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমাদের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশজুড়ে আছেন এই তরুণেরা, এঁরাই প্রকৃত ভোটব্যাংক। কিন্তু রাজনীতিবিদদের ভাষণে তরুণদের স্বপ্ন প্রতিফলিত হয় না। নেতারা এখন পুরোনো আমলের দেশপ্রেমের বুলি কপচান আর ধর্ম-বর্ণ ইত্যাদি সংস্কারের মাহাত্ম্য প্রচার করেন। কিন্তু তরুণেরা আসলে কী চান? 

তাঁরা চান ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে, ভালো চাকরি করতে, নিজেদের সামনে আদর্শ হিসেবে অনুকরণীয় কাউকে পেতে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্থান করে দেওয়ার মতো এত আসন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নেই, চাকরির ক্ষেত্রেও তাই। তরুণদের সবচেয়ে বড় একতা এখানেই যে তাঁরা সবাই দেশকে এগিয়ে নিতে চান, উন্নতি করতে চান। তরুণদের এই স্বপ্ন পূরণের জন্য অবকাঠামো প্রয়োজন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এসব অর্জন করা মোটেই সহজ নয়, কিন্তু আমাদের মধ্যে একতা গড়ে তোলার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। 

বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি দৃঢ় কিন্তু নিরপেক্ষ কণ্ঠের খুব প্রয়োজন। কেউ যখন কোনো ছুতোয় আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইবে, তখন সেই বিভেদ সৃষ্টিকারীর দলের কাউকেই জোর গলায় এর প্রতিবাদ করে তার অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। কেউ যদি বলে যারা মারাঠি নয়, তাদের আক্রমণ করা উচিত, তাহলে মারাঠিদের মধ্য থেকেই এই আগ্রাসী আহ্বানের প্রতিবাদ করতে হবে। জাতির বিবেকরূপী কণ্ঠস্বরই পারে সবাইকে দেশের স্বার্থে একত্র করতে। তরুণ প্রজন্মও তাই চায়।

দ্বিতীয়ত, আমাদের ঠুনকো আভিজাত্যের অহংকারে মাটিতে পা না ফেলার অভ্যাসটা একটু বদলাতে হবে। যখনই কেউ একটু সফল, একটু বেশি শিক্ষিত, ধনী, বিখ্যাত, মেধাবী কিংবা সংস্কৃতিমনা হয়ে ওঠে, সে নিজেকে খুব একটা কেউকেটা ভাবা শুরু করে। নিজেকে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে আলাদা করে এমন লোকদের সঙ্গে মেলামেশা করা শুরু করে, যারা সাধারণ মানুষকে মানুষ বলেই মানতে নারাজ। বায়বীয় বুদ্বুদে বুদ্ধিজীবী পরিবেষ্টিত হয়ে থাকতে ভালো লাগে মানি, কিন্তু এই বুদ্ধির উপযোগিতা কোথায়? 

টিভি খুললে শতকরা ৭০ ভাগ সময় দিল্লি, মুম্বাই কিংবা বেঙ্গালুরুর খবর দেখতে পাই, কিন্তু শুধু এই তিনটি শহর নিয়েই ভারত নয়। ভারতের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ এসব শহরে থাকে না। তাদের খবর যদি গণমাধ্যমে যথাযথভাবে প্রচার করা না হয়, দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে? 

আমি মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব করতে বলছি না। দেশে ব্যবসা করতে হলেও জনগণকে জানতে হবে, তাদের চাহিদা বুঝতে হবে। এতে মানসম্মান নষ্ট হয় না। আমার বই রেলস্টেশনে, শহরের অলিগলিতে বিক্রি হয়। এতে তো পাঠকের চোখে আমি সস্তা হয়ে যাই না। শুধু মুম্বাইয়ের র্যাম্পে হেঁটে চলা মডেলরা কী পড়েছে, তা নয়, ইন্দোর আর রায়পুরের রাস্তায় হেঁটে চলা মানুষেরা কী ভাবছে, তা-ও জানতে হবে। মেকি আভিজাত্য না দেখিয়ে খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। শুধু অপসংস্কৃতির ধুয়ো তুলে গালিগালাজ করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।

সবশেষে আমি বলতে চাই, ইংরেজি শেখার ব্যাপারে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই আর পরীক্ষার খাতায় সীমাবদ্ধ না রেখে, ইংরেজি শিক্ষা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমি একজন গ্রামের ছেলেকে হিন্দিতে জ্যামিতি বা পদার্থবিদ্যা শেখাতে পারি, কিন্তু সে যখন চাকরি খুঁজতে যাবে, তখন সেটা তার খুব একটা কাজে লাগবে না। কিন্তু ইংরেজি তাকে একটা ভালো চাকরি পেতে সাহায্য করবে। ইংরেজির প্রসার ঘটিয়ে আমরা যদি দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারি, তাহলে আমরা সংস্কৃতি রক্ষার জন্য অনেক উদ্যোগ নিতে পারব, কিন্তু অসংখ্য মানুষকে বেকার কিংবা ক্ষুধার্ত রেখে আর যা-ই হোক, সংস্কৃতি রক্ষার কথা ভাবা যায় না। 

এসব শুধু বক্তৃতা করার জন্য বলা নয়, আমাদের নিজেদের অবস্থান থেকেই আমরা কোনো না কোনোভাবে এই কাজগুলো করতে পারি। অন্তত বন্ধুদের আড্ডাতেই না-হয় সবাই কিছুক্ষণ এটা নিয়ে কথা বললেন। যদি আরও কোনো উপায়ে এই ধারণাগুলো দশজনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন, তবে তা-ই করুন। আজ আমরা এখানে বসে চমৎকার বক্তৃতা শুনছি, এর অর্থ হচ্ছে আমাদের অনেক কিছু আছে, যা এ দেশের কোটি কোটি মানুষের নেই। দেশের কাছ থেকে তো অনেক কিছুই নিলাম, আসুন, এবার ভেবে দেখি, দেশকে আমরা কী দিতে পারি।। 

মুহাম্মদ ওয়ালিউল্যাহ
৩০ নভেম্বর, ২০১৭.

২টি মন্তব্য:

  1. কথাটা আগে কখনই এভাবে ভাবিনি।আরও এগিয়ে যান কাজ নিয়ে। আমরা আছি ইনশাআল্ল।।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. অনেক মানুষ তার স্বপ্নের থেকেও বড়!
      সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ!

      মুছুন