আল্লাহ্-র বাণী সম্বলিত আসমানি কিতাব পবিত্র কোর'আনুল কারিম, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এক দল সেই কোর'আনুল করিমের তির্যক সমালোচক; তারা নিজেদের নাস্তিক বলে দাবি করে। অন্য আরেক দল ধর্মকে ব্যবহার করে যে কাউকে নাস্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করে, কোপিয়ে মেরে নিজেদের সাচ্চা মুসলিম হিসেবে প্রকাশ করে! এই দুই দলই জ্ঞানের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য উপভোগ ৷ করতে অপারগ। আল্লাহ্-র বাণী সম্বলিত পবিত্র কোর'আনুল কারিম নাযিল হয়েছে জগতের সকল কল্যাণের উদ্দেশ্যে, ফতোয়া দিয়ে কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়। এই মহাগ্রন্থ হতেই যুগে যুগে স্বার্থক মানুষের দল অনুসন্ধান করেছে মৌলিকত্বের এবং করছে প্রকৃত সত্য উদঘাটন। চেষ্টা ও সাধনা করলে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যাকে ইচ্ছা তাকে যে কোন বিষয়ে প্রকৃত 'নূর' তথা জ্ঞানের আলো দান করতে পারেন। প্রকৃত নূরের মূল উৎস হলো পবিত্র কোর'আনুল কারিম।
সভ্যতার বিবর্তনে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেকেই আজ মুসলিমদের ছোট করে আত্নতৃপ্তির ডেকুর তোলে। তা কতটুকো যৌক্তিক? যুগের পরিক্রমায় দেখা যায় মুসলিম মনিষীগণই প্রকৃত মৌলিকত্বের ধারক ও বাহক, প্রবর্তক ও উপস্থাপক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেই ভাগ্যবান মুসলিম জাতির বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানে না তাদের অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য। এমন কি জানার তেমন প্রয়োজনও বোধ করে না বা জানার আগ্রহও প্রকাশ করে না। মুসলমানের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আজ বিকৃত করে পৃথিবীবাসীর কাছে উপস্থাপিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এর মুল কারন- বর্তমান মুসলমানের উদাসিনতা, অজ্ঞতা-জ্ঞানহীনতা, বিজ্ঞান বিচ্যুত শিক্ষা ও ভোগবাদী চিন্তাচেতনা।
একসময় ইউরোপিয় পন্ডিতগণ মুসলিম সভ্যতাকে, বিশ্ববিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের অধিকাংশকেই বিকৃত করে উপস্থাপন করেছিল, এমন কি মুসলিম মণিষীদের অধিকাংশের নাম বিকৃত করে উপস্থাপন করেছিল; তাই আজ আমরা খুব বেশি একটা অবগত হতে পারি না তাঁদের সম্পর্কে। অথচ মুসলমানদের জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করে অমুসলিমরা আজ বিশ্বে উন্নত।
অন্য দিকে মুসলিম বিশ্ব আজ তাদের পূর্বপুরুষের দেয়া জ্ঞান-বিজ্ঞান হারিয়ে মুর্খ ও পরনির্ভরশীল জাতিতে পরিনত হয়েছে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছায় মুসলিম জাতির মধ্যেই সব ধন্য মানুষের জন্ম হয়েছিল, যারা ছিল ঐশী জ্ঞানে মহিমান্বিত। আল্ খারিযামী তেমনই একজন মুসলিম মণিষীর নাম; যার জন্ম ৮২০ খ্রিষ্টাব্দে।
আল-খারিযমী হিসেবে আমরা যাকে চিনি তিনি আসলে মুহাম্মদ আবু আব্দুল্লাহ্ ইবনে মূসা আল খারিযমী। বীজগণিত ও ত্রিকোনোমিতির ভিত তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাসে সর্বাধিক বিখ্যাত এই মুসলিম মণিষী পৃথিবীতে গণিতের নতুন এক ধারাকে উন্মুক্ত করেছিলেন নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করে। বীজগণিতের আবিষ্কারক আল খারিযমী 'হিসাব আল জাবর ওয়াল মুকাবালাহ্' নামক এক বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেন। এই গ্রন্থের নামানুসারেই পরবর্তিতে ইউরোপিয়রা গণিতের এই শাখাকে 'ALGEBRA' নামকরণ করেন। 'আলজাবর' থেকেই 'অ্যালজেবরা' শব্দের উৎপত্তি। পরবর্তীতে ইউরোপীয় মণিষীরা আল খারিযমীকে 'The father of Algebra' খেতাবেও ভূষিত করেন। তাঁর উদভাবিত গণিতই আজ পৃথিবী সভ্যতার প্রাণপ্রদীপ।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে এই মুসলিম মণিষী গ্রীক ও ভারতীয় গ্রন্থের সমন্বয়ে মুসলমানদের বিজ্ঞান চর্চার পথকে সুগম করেছিলেন। বীজগণিতের মৌলিক সংখ্যা ও অঙ্কগুলো তাঁর অমর সৃষ্টি। 'হিসাব আল জাবর ওয়াল মুকাবালাহ্' গ্রন্থটিতে তিনি আট শতাধিক বিভিন্ন ধরনের উদাহরন সন্নিবেশ করে গেছেন। সমীকরণকে সমাধানের প্রায় ছয়টি নিয়ম তিনি আবিষ্কার করেন। গ্রন্থটি দ্বাদশ শতাব্দিতে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়ে তখন থেকে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ষোড়শ শতাব্দি পর্যন্ত শ্রেষ্ট ও প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে পঠিত হয়। এ ছাড়াও পাটিগণিত বিষয়ে তিনি একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, যা পরবর্তিতে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়।
বর্তমান যুগ পর্যন্ত গণিত বিদ্যার যে উন্নয়ন এবং গণিতের সহায়তায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার যে উন্নতি ও নব্য আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে তার মূলে রয়েছে আল খারিযমীর উদ্ভাবিত গণিত বিষয়ক নীতিমালা। গণিত ছাড়াও তিনি গ্রীক ভূগোলবিদ টলেমির গ্রন্থ অনুবাদ করেন এবং তার একটি মানচিত্র সংযোজন করেন। তিনি ও তাঁর কয়েকজন সাথী মিলে 'সূরত আল আরদ' তথা বিশ্বের একটি বাস্তব রুপ প্রস্তুত করেন, পরবর্তিতে বিশ্বের মানচিত্র অঙ্কনে যা মডেল হিসেবে গৃহিত হয়েছিল। খারিযমী পৃথিবীকে সপ্ত 'ইকলীম' তথা সপ্তমন্ডলে ভাগ করেছিলেন, যার সূত্র ধরে পরবর্তীকালে ভূগোলবিদরা আবহাওয়ার তারতম্য অনুসারে পৃথিবীকে সাতটি মহাদেশে বিভক্ত করেন। এ ছাড়াও বিশ্বের পরিধি ,অক্ষরেখা, দ্রাঘিমা এবং জ্যোতির্বিদ্যায় তাঁর গবেষণালব্দ জ্ঞানই পরবর্তিতে পথিকৃতের কাজ করে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান অন্যান্য জাতির জন্য ইর্ষা ও বিস্ময়ের বিষয়।
হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম, খোলাফায়ে রাশেদ্বীন ও সাহাবায়ে আজমাইনদের কথা তুলে ধরার বদান্যতা আমার নেই, তৎপরবর্তীতে অসংখ্য মুসলিম মণিষী এই পৃথিবীকে সম্বৃদ্ধ করেছেন আমি তাঁদের নিয়ে দুই-এক কথা লিখতে চেষ্টা করবো মাত্র। ইবনে জাবির তাবারী তাফসির ও ইতিহাসকে এবং ইমাম গাজ্জালী ইসলামী অনুশাসন সমূহের ব্যাখ্যা দর্শনের সাহায্যে অত্যন্ত সুনিপুনভাবে তুলে ধরেন। তাঁদের লিখা অনেক বইপুস্তক এখন বাংলায়ও অনুবাদিত হয়েছে। ঐ সব মৌলিক পুস্তক থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা নেয়া যায়। আধুনিক ধারণা থেকে শুরু করে আধ্যাতিক ও আত্মিক উন্নতি লাভের নৈতিক শিক্ষার আবশ্যিকতাও তুলে ধরেছেন অগেকার মুসলিম মণিষীরাই।
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে মুসলমানদের ভূমিকা অগ্রনী ও অনশ্বীকার্য। জ্ঞানের সল্পতা হেতু বর্তমান দুনিয়ার অনেকেই অনেক বিষয়েই অযথা একপেশে ভাবে শুধু মুসলমানদের দোষারোপ করে থাকে; প্রকৃতপক্ষে এমনটা করা ভুল। তারা হয়তো জানে না চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান ও ভূমিকা অবিশ্বরনীয়। আবু বকর আল-রাযী, ইবনে সীনা, হাসান ইবনে হাইসাম, আবুল কাসেম জাহরাবী, আলি তারাবী উল্লেখযোগ্য হলেও নাম না জানা আরো অনেকে আছেন এই দলে। রসায়নে জাবির ইবনে হাইয়াম বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট, যার লিখা গ্রন্থের পরিমাণ দুই হাজারেরও অধিক। গণিতে আল খারিযমী ছাড়াও আল বিরুনী, নাসিরুদ্দীন তুসী, উমর খাইয়াম, আল বাত্তানীর অবদানও অগ্রনী। বিজ্ঞানের প্রত্যেক শাখায় জ্ঞাত-অজ্ঞাত মুসলমান মণিষীদের অবদান আজ ইতিহাস বিলুপ্তির রোষানলে পরে হারিয়ে যাওয়ার পথে। প্রকৃতপক্ষে, বিজ্ঞান ও সভ্যতার ইতিহাস মুসলমানদের দ্বারাই রোপিত।
বর্তমান সময়ে মুসলিম নামধারী অনেক ব্যক্তি অনেক সময় বিজ্ঞানকে অন্যের অবদান বলে তির্যক কটাক্ষ করেন; আবার ইসলামকে বিজ্ঞান বিবর্জিত বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন; কেউবা প্রশ্ন করে মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়েও; তারা আসলে অজ্ঞ, নয়তো জ্ঞানপাপি সুবিধাবাদী; ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করা যাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। জ্ঞান আর অজ্ঞানতার এই দ্বন্ধ নতুন কিছু তো নয়; ছিল, আছে এবং থাকবে।
'Big Bang' 'Black Hole' আজ আবিষ্কৃত হলেও এসব বেশিরভাগ মানুষের কাছে আবছা নয় কি? তাছাড়া এসব সম্পূর্ণরুপে বৈজ্ঞানিক প্রমাণীত কি? বিজ্ঞান হলো সম্পূর্ণভাবে বাস্তব ভিত্তিক একটি জ্ঞান। সৃষ্টির কসড়া এ ক্ষেত্রে বাতুলতা নয় কি? প্রকৃতপক্ষে সৃষ্টির সঠিক ইতিহাস বিজ্ঞানীদের কাছে আজও অস্পষ্ট এবং অস্পষ্টই থেকে যাবে। এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণরুপে স্রষ্টার মজ্জাগত ও সত্তাগত বিষয়, এখানে যে কোন সৃষ্টির প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। একজন বিজ্ঞানী শুধু আল্লাহ্ সৃষ্ট মৌলিক উপাদানগুলোর অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পারেন এবং পারবেন। এই সব বিষয়গুলো নিয়ে অন্য এক সময় আলোচনার প্রত্যাশা রাখছি, যেই বিষয়টি দিয়ে লিখার সূচনা করেছিলাম সেই দিকে আসা যাক।
যা বলছিলাম— আল্লাহ্কে মানে না এমন এক দল যেমন আবির্ভূত হয়েছে, ঠিক আরেক দল সম্পূর্ণ তার উল্টো। এক দল আল্লাহ্কে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য উঠেপরে লেগেছে , অন্যদল আল্লাহ্কে রক্ষার কাজে নিজের জীবন উৎসর্গ করছে। আল্লাহ্কে অস্বীকার করলে, বকা দিলে এতে আল্লাহ্-র কি আসে যায়? আল্লাহ্-র যদি কিছু আসে না যায়,তবে আপনার কি? এক দলের সদস্যরা আল্লাহ্কে গালি দিচ্ছে, অন্য দলের সদস্যরা তাকে বধ করার জন্য মরনপণ করে বসে আছে। আমার দৃষ্টিতে এই দুই দলই পৃথিবীর উচ্ছিষ্ঠ্য আবর্জনা। মানলাম আপনি একজন নাস্তিক, ধর্মকর্ম করেন না, আল্লাহকে মানেন না। আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি থাকেন না! একজন ধর্মবিশ্বাসীর অন্তর্মূলে আঘাত করতে আসেন কেন? ধর্ম ও ধর্ম জ্ঞানীদের সমালোচনা দিয়ে আপনার অজ্ঞানের এতো বিকাশ ঘটাতে চান কেন? সমাজ সংসারে আরো তো বলার মত অনেক কিছু আছে, অনেক বিষয় আছে এই পৃথিবীতে; সব কিছু বাদ দিয়ে স্পর্ষকাতর এই বিযয়টি নিয়ে লাফানোর এত ইচ্ছা কেন?
আমি বলি কি- রাতারাতি নিজেকে কুখ্যাত করার এক দূর্ভিসন্ধি এটি। এতে করে নাস্তিক ও ধর্মবিরোধী সমাজের আনুকূল্য পাওয়াই মুল উদ্দেশ্য। এক সময় দেখতাম রাজনীতি না করেও একশ্রেণী যেনতেনভাবে রাজনৈতিক সার্টিফিকেট বাগিয়ে ইউরোপ আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতো; সফলও হতো। এখন কেউ আর এই দেশের কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় বলে মনে হয় না, তাই বিদেশ গমনের এক সহজ ভিন্ন অপকৌশল এটি - মানুষের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে একশ্রেণীর মূর্খকে খেপিয়ে নিজের উপর নাস্তিকের সিল পাকাপোক্ত করে পশ্চিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। স্ব-ঘোষিত নাস্তিক শ্রণীর দূর্ভিসন্ধি না বুঝে স্ব-ঘোষিত অতি আস্তিক শ্রেণীও বিরোধীতা করে রাতারাতি তাদেরকে কুখ্যাত করে দেয়, ধর্মীয় অজ্ঞতা ও জ্ঞান স্বল্পতাই যার মূল কারণ।
কোন ধরনের উচ্চ আবেগী মাত্রাকেই ইসলাম সমর্থণ করে না। 'মধ্যপ্রন্থা' রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম স্বীকৃত সর্ব উৎকৃষ্ট প্রন্থা। অথচ নিকৃষ্টভাবে আমাদের মাঝে একশ্রেণী সেই প্রন্থা পরিত্যাগ করে ইহুদী খ্রীষ্টানদের অতি উগ্রবাদের বিশেষণ 'মৌলবাদ' মুসলমানের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে! অবশ্য এর পিছনেও দূর্ভিসন্ধি নিহীত আছে। তারাও পশ্চিমা মদদেই সৃষ্ট; উদ্দেশ্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকাড়। মুসলমানে মুসলমানে দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে মুসলিম সমাজে বিশৃঙ্খলা বাধানোই যার একমাত্র উদ্দেশ্য। অনেকে দ্বীমত পোষণ করতে পারেন, কিন্তু একটি গভীরভাবে ভেবে দেখবেন।
যারা নাস্তিক তারা ভোগবাদী, পরকাল বলতে তাদের কাছে কিছু নেই। দুনিয়ার সুবিধার জন্য তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে দাবী করে মুসলিম সমাজে বিশৃঙ্খলার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? ভেবে দেখুন - আপনি একজন মুনাফিক কিনা? মুনাফিকের জন্য পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে, অন্য কোন গোষ্ঠির জন্য কিন্তু নয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লামের কাছ থেকে আসা উস্কনীমূলক কোন শিক্ষার বাণী বা মানুষকে পুড়িয়ে মারা বা গলা কেটে রগ কেটে বা কুপিয়ে হত্যার শিক্ষা কোন গ্রন্থে পেয়েছেন কি? যদি না পেয়ে থেকে থাকেন তো এসব কেন করেন? অপনি কি তবে মুসলিম হিসেবে নিজকে দাবী করতে পারেন? মুসলিমের মাঝে উগ্রতার কোন স্থান নেই; সকল ধরনের উগ্রতাই ইসলামে নিষিদ্ধ। অতএব আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ)-কে মানলে এইসব বাদ দিন।।
মুহাম্মদ ওয়ালিউল্যাহ
০৬-০৩-২০১৫.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন