করোনা আতঙ্কে বিশ্ব এখন স্থবির। এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে আছে প্রায় সারা দুনিয়ার জনগণ। এই ভাইরাস নিয়ে কত কি আলোচনা, কত কি গবেষণা! একেকবার একেক রকম তথ্য আসছে আমাদের কাছে। এখন পর্যন্ত সারা দুনিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে ১,০৮,৭৭০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ১৭,৭৯,০৯৯ জন। ক্ষণে ক্ষণে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
কয়েকদিন আগে বলা হয়েছিল কৃত্রিমভাবে এ ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে! তবে সেই গবেষণাকে ভুল দাবি করে নতুন আরেকটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে; যা করেছেন আমেরিকার স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা। আর এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার নেচার মেডিসিন পত্রিকায়। ওখানে নোভেল করোনা ভাইরাস সার্স-কো ভি-২ বা কোভিড-১৯ ও তার সম্পর্কীত সকল ভাইরাসগুলোর জিনের গঠন সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। নোভেল করোনা ভাইরাস কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে যে দাবি করেছিল কেউ কেউ, এ গবেষণায় তার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
গবেষণাপত্রটির অন্যতম লেখক স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসেন বলেন, পরিচিত করোনা ভাইরাসের স্ট্রেইনগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি— সার্স-কো ভি-২ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে। গবেষকদের বক্তব্য, চীনা কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত এ মহামারি শনাক্ত করেছেন। একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমণের জেরেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। হাতে আসা এ সব তথ্য বিশ্লেষণ করেই সার্স-কো ভি-২ ভাইরাসের উৎপত্তি কীভাবে, তা জানতে পেরেছেন গবেষকদের এ দলটি। বিজ্ঞানীদের দাবি, স্বাভাবিক বিবর্তনের ফলেই এগুলো তৈরি হয়েছে; কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়নি।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ক্রমেই মহামারি রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আক্রান্ত হতে বাদ নেই ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার কোন অঞ্চল। মূলত বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে, সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত। ইজরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সন্দেহ করেছিল, রহস্যময় ‘নোভেল করোনা ভাইরাস’ চাষ হয়েছে চীনের গোপন সামরিক গবেষণাগারে; মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট মোসাদের এ দাবিকে সমর্থনও করেছিল। শেষ পর্যন্ত নয়া গবেষণার ফল প্রকাশ্যে আসায় ফলে এসব গুজব-গজবসহ সকল জল্পনা-কল্পনা ও বিতর্কের আপাতত অবসান হলো।
ভাইরাস সম্পর্কে আমার অভিমত— ভাইরাস হলো একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অনুজীব; যারা জীবিত কোষের ভিতরেই শুধুমাত্র বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এরা অতি-আণুবীক্ষণিক এবং অকোষীয়; ভাইরাস আসলে জীব হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা, এ নিয়েও বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত আছে। ভাইরাস মানুষ, পশু-পাখি ও উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। এমনকি, কিছু ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যেও বংশবৃদ্ধি করে। ভাইরাস সাধারণত নিন্ম তাপমাত্রায় সারভাইভ করতে পারে। আমার ধারণা, এ জন্যই হয়তো দক্ষিণ এশিয়া ও অত্রদাঅঞ্চলে বর্তমান বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের বিস্তার তুলনামূলকভাবে কম হবে, শীতপ্রধান দেশে যা ত্রাস সৃষ্টি করেছে; তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এক সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪দিন বলতো; কিছু কিছু গবেষক বলতেন— এর স্থায়িত্ব ২৪দিন পর্যন্ত হতে পারে; তা-ও ভুল।
মানুষের মধ্যে যখন এই ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয় তখন অনেক বেশি মানুষকে এ ভাইরাসে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। করোনাভাইরাস নিয়ে প্রতিনিয়ত পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে এবং পড়ছে। স্বাস্থ্য উপদেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকারের পরিকল্পনা নিয়েও বিভ্রান্তিকর সব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। শুধুমাত্র ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে একেকজন একেক রকম গল্প বানাচ্ছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করছে। এসব বিষয়ে বিভ্রান্ত হওয়া মোটেও ঠিক হবে না।
যেহেতু করোনাভাইরাসের বিস্তার মানুষ বা অন্য কোন প্রাণী অর্থাৎ জীবন্ত বাহকের মাধ্যমে ঘটে। তাই এই বাহক থেকে বা যে বহন করছে তার থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করাটাই হলো নিজেকে সুস্থ রাখার মূলমন্ত্র। আপনি আমি কেউ-ই জানি না কে এই ভাইরাসের বাহক বা কে বহন করছে, তাই এই মূহুর্তে হোম কোয়ারানটাইনে থাকাটাই একমাত্র প্রতিষেধক। কিন্তু একজন মানুষ কতদিন আর ঘরে আবদ্ধ থাকতে পারে?
এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং মৃত্যুতেও। এর পরই আছে ইউরোপের দেশ স্পেন, ইতালি ও জার্মানি। সংক্রমণের দিক দিয়ে শীর্ষে থাকলেও ইউরোপের অন্য দুই দেশের তুলনায় জার্মানিতে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা একেবারেই তলানিতে। কীভাবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রাণহানিতে লাগাম টানতে সক্ষম হলো জার্মানি?
ইউরোপের একাধিক দেশে করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর থাবা অব্যাহত থাকলেও জার্মানিতে সংক্রমণ কমে আসছে। জার্মানিতে আজ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৫,৪৫২ এবং মৃতের সংখ্যা মাত্র ২,৮৭১। মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ার কারণ হলো ওখানে গণহারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্যরা যখন লক্ষণ রয়েছে এমন লোকজনের পরীক্ষা করছে, তখন জার্মানিতে ব্যাপক পরিসরে তাদের করোনার পরীক্ষা চলছে।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় জার্মানির অবস্থান চতুর্থ। তারপরও দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা এতো কম। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য অনেক দেশে পরীক্ষা না করানোর কারণে দ্রুত বিস্তার ঘটছে; যেটি জার্মানিতে হচ্ছে না। জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে ইতালিতে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখের কিছু বেশি মাত্র; এছাড়া স্পেনে পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার মাত্র।
পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রতিদিনই করোনা সিম্পটমে অনেক রোগী মারা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিও আছেন অনেকে। আবার ভর্তি থাকা অবস্থাতেই কেউ কেউ মারা যাচ্ছেন। তাছাড়াও বাড়িতেও অনেকে মারা যাচ্ছেন। তথ্য গোপন করে তাদেরকে স্বাভাবিক নিয়মে দাফনও করা হচ্ছে বা খবর পেলে প্রশাসন দাফন করছে। এসব রোগীদের কি করোনা টেস্ট করা হচ্ছে?
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও ব্যাপকতার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের দেশগুলোকে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে:—
স্তর-১: নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো থেকে আগতদের মধ্যে কারও নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া।
স্তর-২: বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া।
স্তর-৩: নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বৃহত্তর এলাকায় সামাজিক সংক্রমণ।
স্তর-৪: মহামারী।
৮ মার্চ বাংলাদেশ প্রথম ঘোষণা করে, দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। ওই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সংক্রমণ পরিস্থিতির দ্বিতীয় স্তরে পৌঁছে। তখনকার সংক্রমিত ব্যক্তিরা ছিলেন বিদেশফেরত। ওই বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বেশ কিছু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে এমন বলতে থাকে তখন আইইডিসিআর। কিন্তু রাজধানীর টোলারবাগের একটি সংক্রমণের ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, সংক্রমিত ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণ বা বিদেশফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কোন ইতিহাস তাঁর ছিল না। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠে, সংক্রমণ কি তাহলে সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে?
এরই মধ্যে গত ৫ এপ্রিল সংক্রমণ তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা। তিনি বলেন— রাজধানীর টোলারবাগ ও বাসাবো, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর ও গাইবান্ধা, এই পাঁচটি এলাকায় গুচ্ছ আকারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জামালপুর, চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, নরসিংদী, রংপুর, শরীয়তপুর ও সিলেটেও সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। এ থেকে অনেকেই মনে করেন, সংক্রমণ এখন ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা দেশে কত মানুষ আক্রান্ত, তার সঠিক হিসাব এখন কারো জানা নাই। কারণ, নমুনা পরীক্ষার পরিধি ও সংখ্যা এখনো খুবই কম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম বলেন, সংক্রমণের যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে একে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলতে আর বাধা নেই। তবে মীরজাদী সেব্রিনা বলেছেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি চতুর্থ স্তরে কি না, তা কোভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমাদের দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্তের হিসাব-নিকাশ অনেকটা মীরজাদী-র মিরাকলের ওপরই নির্ভরশীল।
৩ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি ঘোষণা দিয়েছিল— ইউরোপ-আমেরিকার পর নতুন মৃত্যুপুরী হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া। তারা তখন বলেছিলেন— প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণহানিও অর্ধলক্ষ ছাড়িয়েছে। যাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার ইউরোপের দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইউরোপ ও আমেরিকার পর দক্ষিণ এশিয়া নতুন মৃত্যুপুরী হতে যাচ্ছে। এ ঘোষণা আমরা কতটা আমলে নিয়েছি?
অনেকের মতো আমার মনেও এই মূহুর্তে যে প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে— করোনাভাইরাস সংক্রমণের চেয়ে টেস্টে কি বাংলাদেশ পিছিয়ে? দেশে এখনো কেন রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা এতো কম হচ্ছে??
আজকের 'যুগান্তর'-এর একটি খবরের মূল শিরোনাম— করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু। দেশের ১৪ জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ফরিদপুরের মধুখালীতে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এক ব্যক্তির সাহায্যে কেউ এগিয়ে না আসায় তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ দাফনে বাধা দেয়া হয়েছে মানিকগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে হাসপাতালের সামনেই মারা গেল এক রোগী।
এছাড়া কুষ্টিয়া সদর ও দৌলতপুরে দু’জন, খুলনায় শিশু, ফেনীর পরশুরামে মাদ্রাসা ছাত্র, বরগুনার বামনায় একজন, ঢাকার ধামারাইয়ে দু’জন, নওগাঁর পত্নীতলায় নারী, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এক ব্যক্তি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ও বৃদ্ধা, ভোলায় এক ব্যক্তি, গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক ও নরায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
সপ্তাহ ধরে লক্ষ্য করেছি প্রতিদিনের প্রতিটি সংবাদপত্রে এমন মৃত্যুর সংবাদ থাকছেই; যারা করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। ওদের টেস্ট করা কি জরুরি নয়? সত্য সত্যই যদি তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যেয়ে থাকেন, তবে যে কমিউনিটিতে তারা বসবাস করেছেন ওখানে নিশ্চয় অনেককেই সংক্রমিত? এমন কেইস গুলো যদি এখনই ভালো করে খতিয়ে দেখা না হয় তবে নিশ্চিত মৃত্যুর ঘনঘটা অতি সন্নিকটে। আর, শাক দিয়ে কখনো মাছ ঢাকা যান না, মহামারিও কখনো লুকানো যাবে না। তাই সময় থাকতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন; নয়তো মহাবিপদ।
রাতে লেখাটি যখন শুরু করি ঠিক সেই মূহুর্তে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হলো। আনন্দে বুকটা ভরে গেল। লাখ শুকরিয়া মহান রাব্বুল আ'লামীনের দরবারে। এমন করে সকল মিথ্যা ও পাপচার যেন আমাদের সমাজ থেকে একে একে দূর হয়। সকল অন্যায়ের যেন বিচার হয় এবং রায় কার্যকর হয়।
হে রাব্বুল আ'লামীন! হে রাহমানুর রাহীম!! দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, চক্রান্তকারী এবং সকল চোর চোট্টাদের এ থেকে তুমি সঠিক শিক্ষা দাও। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আমাদের হেফাজত করো এবং সকল বালা মসিবত থেকে দেশটাকে রক্ষা করো।।
মুহাম্মদ ওয়ালিউল্যাহ
১২ এপ্রিল, ২০২০.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন